আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটা বয়সের পর মহিলা-পুরুষ, উভয়েরই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর রাখা জরুরি। আসলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেহের শক্তি কমতে থাকে, দেখা যায় নানা শারীরিক সমস্যা। শরীরের পুষ্টির চাহিদারও পরিবর্তন হয়। ৪০ বছরের পর থেকে ত্বক-চুলের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়ে। ত্বক ও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন নামে একপ্রকার প্রোটিন। ত্বক টানটান করা, মৃত কোষ প্রতিস্থাপন, নতুন কোষ গঠনে কোলাজেনের বিশেষ ভূমিকা থাকে। বয়স হলে শরীরে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে। যার জন্য অনেকে সাপ্লিমেন্টের উপর ভরসা রাখেন। তবে রোজকার জীবনের কয়েকটি খাবারও কোলাজেনের ঘাটতি মেটাতে পারে। 

•    চর্বিযুক্ত মাছে বেশি পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা খেলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি, ভাল থাকে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য। তাই রোজের পাতে বিভিন্ন ধরনের মোটা তেল যুক্ত মাছ রাখার চেষ্টা করুন।
•    যে কোনও ধরনের সবুজ শাক যেমন পালং, পুঁই, কলমি, লেটুশ ইত্যাদিতে  ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন এ, সি এবং কে, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকে। যা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে ভাল থাকে হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
•    গম, ব্রাউন রাইস, যব, ওটস, কিনোয়া ইত্যাদি গোটা শস্যগুলি ফাইবার এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এই ধরনের খাবার খেলে হজমশক্তি বাড়ে, রক্তে শর্করার কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
•    ব্রেকফাস্ট কিংবা বিকেলের স্ন্যাকসে আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদি খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন সরবরাহ করে এই সব খাবার।
•    সুস্থতার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমলালেবু, পাতিলেবু, পেয়ারার মতো ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। শরীরের কোলাজেন তৈরির জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়া চেষ্টা করুন।
•    প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। তবে ৪০ বছর পেরলে চর্বিহীন প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। মুরগির মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি খাবার বেশি করে খান। নিরামিষাশীরা খাদ্যতালিকায় রাখুন মুসুর ডাল, ছোলা ইত্যাদি।